Saturday 1 November 2025
Home      All news      Contact us      RSS      English
somoyerkonthosor - 4 days ago

কুষ্টিয়ায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নিয়োগে প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পেয়েছে দুদক

কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে দুদকের সরকারি ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।বার্তাটিতে জানানো হয়, গত ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি ও প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে ২৬ ও ২৭ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।অভিযানকালে স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ পরীক্ষার দুর্নীতির অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ, সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য গ্রহণ এবং সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র উদ্ধার করে দুদক টিম।পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্থানীয় কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্টদের মোবাইল ফোন ও অন্য আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। দুদকের এই ঘোষণায় জেলাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে গোপনীয়তা বজায় রেখে আরো অনুসন্ধান চলছে। ইতোমধ্যে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. হোসেন ইমামের বড় ভাই ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উপসহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসান ইমামের দু’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলোর কললিস্ট বিশ্লেষণ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে।এর আগে, সোমবার তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আরএমও ডা. হোসেন ইমামের সংশ্লিষ্টতাসহ সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিছু একটা যে ঘটেছে, তার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।’উল্লেখ্য, গত ২৪ অক্টোবর কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাতটি পদের ১১৫টি শূন্যপদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন প্রায় ১৬ হাজার ৭৮৯ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার আগের রাতে শহরের কালিশংকপুর এলাকার একটি বাসায় ২৫ থেকে ৩০ জন পরীক্ষার্থীর রহস্যজনক প্রবেশ ও পরদিন পরীক্ষার আগমুহূর্তে বেরিয়ে যাওয়ার দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়।অভিযোগ রয়েছে, ওই বাসাটি ছিল কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. হোসেন ইমামের।ছাত্র-জনতার চাপের মুখে নিয়োগ কমিটি গত ২৫ অক্টোবর ১১ থেকে ২০ গ্রেডের শূন্যপদে নিয়োগ কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করে। পরদিন রবিবার সকালে নিয়োগ বাতিল ও সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসকের অপসারণের দাবিতে এনএস রোড অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। পরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নিচে অবস্থান নিয়ে তারা দাবি আদায়ে দু’দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন। আশ্বাসের ভিত্তিতে তারা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।ইখা


Latest News
Hashtags:   

কুষ্টিয়ায়

 | 

সিভিল

 | 

সার্জন

 | 

কার্যালয়ের

 | 

নিয়োগে

 | 

প্রশ্নফাঁসের

 | 

প্রমাণ

 | 

পেয়েছে

 | 

Sources