Monday 3 November 2025
Home      All news      Contact us      RSS      English
somoyerkonthosor - 7 hours ago

আজ জেলহত্যা দিবস

আজ ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস। দিনটি জাতির ইতিহাসে একটি বেদনাবিধুর দিন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর রাতের আঁধারে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে।
এই নির্মম ঘটনার ঠিক আগে একই বছরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর তাঁর ঘনিষ্ঠ এই চার সহকর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। তারপর ষড়যন্ত্র, ক্ষমতার পাল্টাপাল্টি দখলের ধারাবাহিকতায় রাতের আঁধারে কারাগারে বন্দী অবস্থায় ৫০ বছর আগে হত্যা করা হয় জাতীয় এই চার নেতাকে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলা জেলহত্যা মামলা নামে পরিচিতি পায়। মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশকে হত্যা করতেই এই কালো অধ্যায়। বিশিষ্টজনরা বলছেন, ব্যক্তিকে হত্যা করা গেলেও আদর্শকে হত্যা করা যায় না।

১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতারের পর মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। এই সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী, খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী এইচ এম কামারুজ্জামান।
কলঙ্কজনক এই দিনটিকে জেল হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। ১৯৯৬ সালে জেলহত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ৮ এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তিনজন। তবে সাজাপ্রাপ্ত এই ১১ আসামির মধ্যে ১০ জনই ধরাছোঁয়ার বাইরে। ১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাতেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। দেশে ফেরার পর ২০২০ সালের এপ্রিলে তিনি ধরা পড়েন এবং ওই মাসেই তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয়।
জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ঘটনায় ১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত থেমে ছিল ২১ বছর। ১৯৯৬ সালের জুন মাসে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। ২৯ বছর পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন।


এবি


Latest News
Hashtags:   

জেলহত্যা

 | 

Sources