Sunday 2 November 2025
Home      All news      Contact us      RSS      English
somoyerkonthosor - 21 hours ago

দীর্ঘসূত্রিতায় আটকে আছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ সংস্কার, শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ


সংস্কারের নামে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় পড়ে আছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ। কাজের ধীরগতির কারণে মাঠটি খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। মাঠজুড়ে বালুর স্তূপ জমায় শিক্ষার্থীরা একে ডাকছেন ‘বালু খেকো মাঠ’ নামে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মাঠ সংস্কার, ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা বাজেট বরাদ্দ রয়েছে। গত ৯ মে তিন মাস মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে মাঠ সংস্কারের কাজ শুরু হয়। তবে ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও মাঠ সমান করার কাজই শুরু হয়নি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলাধুলা ও নিয়মিত অনুশীলন কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে। মাঠের বেহাল দশা নিয়ে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। অনেকে মাঠের বালুর স্তূপকে ‘ক্যাম্পাসের পিরামিড’ বলেও ব্যঙ্গ করছেন। প্রশাসনের তদারকির অভাব, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি এবং পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় সংস্কারকাজে এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী ও নিয়মিত খেলোয়াড় সানোয়ার রাব্বি প্রমিজ বলেন, ‘মাঠের বিষয়ে আমরা শিক্ষার্থীরা বিরক্ত। প্রশাসন, প্রকৌশল দপ্তর ও ঠিকাদারকে বারবার বলেও কাজ হচ্ছে না। আমরা আন্দোলন করলে কাজ হয়, নইলে গতি মন্থর হয়ে যায়। গত ৫ মাস ধরেও বালু ফেলার কাজ শেষ হয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাজমুল হাসান কাজের বিলম্বের জন্য ঠিকাদারকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘কাজের ধীরগতির কারণে আগের ঠিকাদারের বিলও আটকে রাখা হয়েছিল। প্রায় দুই মাস আগে নতুন ঠিকাদারকে কাজ দেওয়া হয়েছে। তারা দ্রুত কাজ শেষ করবে বলে জানিয়েছে।’
প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মোফাসিরুল ইসলাম জানান, মাঠের জন্য সাদা বালু ও লাল বালু মিক্সড করার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু লাল বালু পঞ্চগড় থেকে আসায় সময় লাগছে। তিনি বলেন, ‘বালু মিক্সিং করতে দুই সপ্তাহ লাগতে পারে। এরপর পানি দিয়ে ভেজাতে দুই মাস সময় লাগবে। তবে সমস্যা না হলে এক মাসের মধ্যে বালু ফেলা সম্ভব।’
তবে প্রকৌশল দপ্তরের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘বালু মিক্সিংয়েই এক মাস সময় লাগবে।’
কাজের ধীরগতি ও পরিকল্পনাহীনতার অভিযোগ স্বীকার করে প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তারা। উপ-প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে যে কাজগুলো হয়েছে, সেগুলো বিশেষজ্ঞের মতামত ছাড়া হয়েছে। বর্তমানে বিকেএসপির (বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) বিশেষজ্ঞদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। আগের ম্যাটেরিয়ালসগুলো বিশেষজ্ঞ মতামত ছাড়া ব্যবহার করায় ঘাস গজানোসহ নানা সমস্যা হয়েছিল।’
নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাহাত হাসান দিদারও স্বীকার করেন যে, প্রথমদিকে বিকেএসপির পরামর্শ নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘পরামর্শ নেওয়া হলে হয়তো টাকা বেঁচে যেত। প্রথমদিকে ড্রেনের ঠিকাদারকে জরুরি ভিত্তিতে মাঠের কাজ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান ঠিকাদারদের মতে, বালু ফেলতে এক মাসের মতো সময় লাগবে।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুবু এন্টারপ্রাইজের মালিক মুরাদ মাহবুবকে ফোন দেওয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এসআর


Latest News
Hashtags:   

দীর্ঘসূত্রিতায়

 | 

নজরুল

 | 

বিশ্ববিদ্যালয়ের

 | 

সংস্কার

 | 

শিক্ষার্থীদের

 | 

দূর্ভোগ

 | 

Sources