যশোরের ঝিকরগাছায় এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নিজ ঘর থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।নিহত জেনিয়া খাতুন (২২) উপজেলার কায়েমকোলার চান্দা গ্রামের মালদ্বীপ প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী। তার মৃত্যু নিয়ে স্বামী ও পিতার পক্ষের লোকজন ভিন্ন দাবি করেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।জানা গেছে, ৩ বছর আগে চান্দা গ্রামের মহাসিন সরদারের ছেলে বিল্লালের সাথে কীর্তিপুর গ্রামের সবুর গাজীর মেয়ে জিনিয়ার বিয়ে হয়। এই দম্পতির ১৬ মাস বয়সী এক ছেলে রয়েছে।বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পিতা পক্ষের লোকজনকে জিনিয়ার মৃত্যুর খবরটি মুঠোফোনে জানানো হয়। পরে তারা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘর থেকে জিনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।নিহতের পিতা পক্ষের স্বজনরা জানান, জিনিয়ার গায়ের রঙ কালো হওয়ায় শ্বশুর-শাশুড়ি প্রায় গালমন্দ করতেন। এছাড়া পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। স্বামী বিল্লাল হোসেন মালদ্বীপ যাওয়ার পর জিনিয়াকে আরও বেশি অত্যাচার করতেন বাড়ির লোকজন।তাদের দাবি, ‘শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে জিনিয়াকে হত্যা করেছে। ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করলে মৃত্যুর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।’হত্যার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে শ্বশুর পক্ষের লোকজন জানান, ‘জিনিয়া সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মুঠোফোনে স্বামীর সাথে কথপকথনের সময় মান-অভিমানের জেরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।’ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর মোহাম্মদ গাজী জানান, ‘জিনিয়ার মুত্যর ঘটনায় প্রাথমিক অবস্থায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। স্বামী ও শ্বশুর পক্ষের লোকজন নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দাবি করছেন। লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
এসএম
Sunday 2 November 2025
⁞
